Posts

[২]আরণ্যক রিভিও

Image
#বই রিভিও ২ বই - আরণ্যক লেখক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক বিভূতিভূষণ এর একটি কালজয়ী সৃষ্টি আরণ্যক। এটি এমন একটি বই, যা হাতে নিয়ে আপনি শেষ না করে উঠতে পারবেন না। চলুন, জেনে নেই কিছু বিবরণী, যাতে আপনারা বুঝতে পারেন আমার কথার সত্যতা :D উপন্যাস এর প্রধান চরিত্র সত্যচরন। ভাগালপুর এর কাছাকাছি একটি জংগলে, এস্টেট এর পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হয়। শহুরে সভ্যতার ছেলে সত্যচরণ এর জংগলের জীবনযাপনে মানিয়ে নেওয়াটা এক কথায় অসম্ভব ছিলো। যা নিয়ে তার নিজের মনেও অনেক দ্বিধা ছিলো। কিন্তু ধীরে ধীরে এ বন, লোকালয়ের সৌন্দর্যের বাতাস তার মনে লেগে গেলো। ধীরে ধীরে এখানকার আদিবাসী ও স্থানীয় দের সাথে তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। একটা সময় এ মানুষগুলোর জীবনমান এর উন্নতি চাওয়ার অপরাধে জমিদার এর সাথে মনোমালিন্য ঘটে সত্যচরণের। তার পরিপ্রেক্ষিত এ নানান ঘটনার মধ্য দিয়ে সে তার চাকরী হারায়। কিন্তু ততদিনে ওই শহুরে সত্যচরণ এর বুকে বেধে বসে এই বন, বনের মানুষ। তাদের মায়া সে কিছুতেই ছাড়তে পারেনা। যেতে ইচ্ছে হয়না, তাদের ছেড়ে। শেষে কি হলো?? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন, অসাধারণ এই উ...

[১]পথের পাঁচালি রিভিও

#বই রিভিও ১ বই: পথের পাঁচালি লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রকাশ:১৯২৯ সালে কাহিনী সংক্ষেপ : হরিহর-সর্বজয়ার দরিদ্র সংসার। সেই সংসারের অপু আর দূর্গা মধ্যমনি। দূর্গা পিসিমা ভক্ত হলেও মায়ের দুই চোখের বিষ ছিল পিতিমা।তবুও দূর্গা পিতিমাকে খুব বেশি ভালোবাসত। মুখচোরা ও লাজুক স্বভাবের অপু যেন খুবই অভিমানি। মায়ের সাথে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ভাই পাগল দূর্গা চিন্তায় মরে। খুঁজে বাসায় নিয়ে আসে। দুই ভাই বোন মিলে অন্যের আমবাগান বা ফল বাগান হতে ফল কুড়িয়ে আনে, অভাবি সংসারের অভাব মুছনের জন্যে হরিহরা বিদেশ পাড়ি দেয়। হরিহর একবার বিদেশ গেলে মাত্র কয়েকদিনের খাবার রেখে যায়। তা দিয়ে সর্বজয়া টেনে টুনে সংসার চালাতে লাগল। খাবার প্রায় ফুরিয়ে গেলেও হরিহরার কোন খোজ মিলল না। বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। বৃষ্টির সাথে দূর্গার ভিষন জ্বর। দিন দিন বৃষ্টি বাড়তে থাকে আর দূর্গার জ্বর যেন কঠিন আকার ধারন করে। মধ্য রাতে সর্ব জয়া দেখতে পারে চাল বেয়ে দুর্গা আর অপুর শরীর ভিজে একাকার। একটা চিঠি, দুইটা চিঠি, একে একে তিনটা চিঠি পাটানোর পরেও হরিহরের খবর পাওয়া গেল না। হরিহর যখন বাসায় ফিরল তখ...

A brief history of Rubiks cube

Image
রুবিক’স কিউবের মজা ! . . . আমরা অনেকেই হয়তো এই বিশেষ 3D Puzzle নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। আবার অনেকে হয়তো অন্য কারও হাতে দেখেছি। সুন্দর দেখতে এই বিশেষ বস্তুটির নাম হল রুবিক’স কিউব। ১৯৭৪ সালে হাঙ্গেরিয়ান স্থপতি প্রফেসর Ernő Rubik এটি উদ্ভাবন করেন। তখন এর নাম দেয়া হয় ম্যাজিক কিউব (Magic Cube)। পরবর্তীতে ১৯৮০ সালে এটির নাম পরিবর্তন করা হয়। আবিষ্কারকের নামানুসারে রাখা হয়- রুবিক’স কিউব (Rubik’s Cube)। তবে এখনও ম্যাজিক কিউব নামটা প্রচলিত। . রুবিক’স কিউবের ইতিহাস জানা তো হল। এবার কিছুটা মজা করা যাক। যাদের কাছে রুবিক’স কিউব আছে, তাদের কাছে একটা প্রশ্ন। আপনি কি কখনও কিউবটি মেলাতে পেরেছেন? (শেখা ছাড়া)। যাদের কাছে কিউব নেই, তারা যদি ভেবে থাকেন এ আর এমন কি কঠিন কাজ, ঘুরাতে ঘুরাতে কিউব একসময় অবশ্যই মিলে যাবে! যারা এরকম চিন্তা করছেন, তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝতে পারবেন এটা আদৌ সম্ভব কিনা। রুবিক’স কিউব আসলে ২৬টি ক্ষুদ্রাকার কিউবের সমন্বয়ে তৈরি, যাকে বলে কিউবিস বা কিউবলেটস (cubies or cubelets)। এদের মধ্যে রয়েছে ৬ টি সেন্টার কিউবি বা সেন্টার পিস (center piece), ১২টি এজ পিস (edge piece) এব...