
দিন রাত্রি পার হয়ে,জন্ম মরণ পার হয়ে,মাস,বর্ষ,মন্বন্তর, মহাযুগ পার হয়ে চলে যায়.....তোমাদের মর্মর জীবন-স্বপ্ন শেওলা-ছাতার দলে ভরে আসে, পথ আমার তখনও ফুরোয় না...চলে...চলে...এগিয়েই চলে...অজানা গন্তব্যের দিকে...
Thursday, November 28, 2019
[২]আরণ্যক রিভিও

[১]পথের পাঁচালি রিভিও
#বই রিভিও ১
বই: পথের পাঁচালি
লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশ:১৯২৯ সালে
কাহিনী সংক্ষেপ :
হরিহর-সর্বজয়ার দরিদ্র সংসার। সেই সংসারের অপু আর দূর্গা মধ্যমনি।
দূর্গা পিসিমা ভক্ত হলেও মায়ের দুই চোখের বিষ ছিল পিতিমা।তবুও দূর্গা পিতিমাকে খুব বেশি ভালোবাসত।
মুখচোরা ও লাজুক স্বভাবের অপু যেন খুবই অভিমানি। মায়ের সাথে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেও ভাই পাগল দূর্গা চিন্তায় মরে। খুঁজে বাসায় নিয়ে আসে।
দুই ভাই বোন মিলে অন্যের আমবাগান বা ফল বাগান হতে ফল কুড়িয়ে আনে,
অভাবি সংসারের অভাব মুছনের জন্যে হরিহরা বিদেশ পাড়ি দেয়।
হরিহর একবার বিদেশ গেলে মাত্র কয়েকদিনের খাবার রেখে যায়। তা দিয়ে সর্বজয়া টেনে টুনে সংসার চালাতে লাগল। খাবার প্রায় ফুরিয়ে গেলেও হরিহরার কোন খোজ মিলল না। বেঁচে আছে কি না তাও জানি না। বৃষ্টির সাথে দূর্গার ভিষন জ্বর। দিন দিন বৃষ্টি বাড়তে থাকে আর দূর্গার জ্বর যেন কঠিন আকার ধারন করে। মধ্য রাতে সর্ব জয়া দেখতে পারে চাল বেয়ে দুর্গা আর অপুর শরীর ভিজে একাকার।
একটা চিঠি, দুইটা চিঠি, একে একে তিনটা চিঠি পাটানোর পরেও হরিহরের খবর পাওয়া গেল না।
হরিহর যখন বাসায় ফিরল তখন আর দূর্গা এই দুনিয়ায় ছিল না। যাওয়ার আগে অপুকে বলে
ভাই আমাকে ট্রেনে চড়াবি।
অল্প কিছুদিন পরেই নিশ্চিন্দিপুর ছেড়ে কাশিতে গেলো দুঃখ মুছানোর জন্যে কিন্তু তাদের দুঃখ পিছু ছাড়ল না।
হরিহর পারগমন করার পর পাঞ্জাবী পরিবার অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রপ্ত বইপোকা অপুদের পরিবার সামলিয়ে নেয়। অল্প কিছুদিন বর ব্রামন বিধবা সর্বজয়া একটা বাসায় কাজ পেয়ে গেলদ হাফ ছেড়ে বাচঁল।
সেখানে গিয়ে লিলির সাথে পরিচয় হয়। বিরাট বাড়িতে একমাত্র লিলিই তার সাথে কথা বলে। এক গ্লাস দুধ দুই জন ভাগ করে খায়। অপুর থেকে দুই বছরের ছোট হলেও লজ্জা নাই বলতেই চলে। কিন্তু অল্প দিন পর সেই মেয়েটাও চলে যায় তবে আবার ফিরে আসে। এবারের ফিরে আসায় থাকে চমক।
পাঠক প্রতিক্রিয়া:
ঘুমের মধ্যেও নিজেকে অপু বলে ভেবেছি। স্বপ্নে দেখেছি অপু কিভাবে বই পড়ছে। স্কুল বা কলেজে ভর্তি না হয়েও যে বই পোকা হওয়া যায় সে শিক্ষা পেয়েছি পথেরপাঁচালির আসল চরিত্র অপুর মাধ্যমে। প্রথমে দূর্গাকে আসল ভাবলেও সে কাঁদিয়ে হারিয়ে যায়। তারপর মুখচোরা অপুই হয় আসল চরিত্র। যে কিনা সারাদিন জঙ্গলে ভড়া, পুকুর পাহাড়া দেয়ার বিনিময়ে একটা করে বই নেয়। প্রত্যেক বইপোকারা মনে হয় এমনি হয়।
বইটা শেষ করে মাথা থেকে অপুকে সরাতে পারিনি। জানিনা কয়দিন থাকবে।
এই বইটা হাসিয়েছে আবার কাঁদিয়েছে। হতাশ করে আবার আশার আলো দেখিয়েছে। কখনো মনে হয়নি বিফলে যাব। যত সময় ছিলাম অপুর স্থানে নিজেকে বসিয়ে ভাবছি। অপুর অবুজ চরিত্রটার প্রেমে যে কোন মেয়ে পড়ে যাবে। যদিও মেয়েরা বই পাগল ছেলেদের পছন্দ খুব একটা করে।
তবে অপুর সাথে আমার খুবই সাদৃশ্য রয়েছে অপুও মুখচোর, আমিও, অপু উন্নত মানের বইপোকা আমি নিম্ন মানের তবুও দুইজন বইপোকা।
রেটিং :৫/৫
ক্ষমাপ্রর্থী: ৯৯% লোকের পছন্দের একটা বই। তাই ভুল কিছু বলে থাকলে খুবই দুঃখিত।
হ
Subscribe to:
Posts (Atom)
[২]আরণ্যক রিভিও
#বই রিভিও ২ বই - আরণ্যক লেখক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক বিভূতিভূষণ এর একটি কালজয়ী সৃষ্টি আরণ্যক। এটি এমন ...

-
রুবিক’স কিউবের মজা ! . . . আমরা অনেকেই হয়তো এই বিশেষ 3D Puzzle নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। আবার অনেকে হয়তো অন্য কারও হাতে দেখেছি। সুন্দর দ...
-
#বই রিভিও ২ বই - আরণ্যক লেখক - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের শক্তিমান লেখক বিভূতিভূষণ এর একটি কালজয়ী সৃষ্টি আরণ্যক। এটি এমন ...
-
#বই রিভিও ১ বই: পথের পাঁচালি লেখক: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম প্রকাশ:১৯২৯ সালে কাহিনী সংক্ষেপ : হরিহর-সর্বজয়ার দরিদ্র সংসার। সেই স...